শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গাইবান্ধায় আয়োজন করা হয়েছে জেলার সবচেয়ে বড় আলপনা উৎসব। ‘মেধা, শ্রম ও সম্প্রীতি আগামীর গাইবান্ধা বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব গাইবান্ধা (পুসাগ) বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম প্রাচীন অনুষঙ্গ আলপনা চিত্রের ঐতিহ্যকে বড় পরিসরে তুলে ধরতেই জেলার বৃহত্তম এ আলপনা উৎসবের আয়োজন করে।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গাইবান্ধা পৌর পার্কে বেলুন উড়িয়ে ও রং তুলি দিয়ে আলপনা এঁকে এই বর্ণাঢ্য আলপনা উৎসবের উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
গাইবান্ধার পৌর মেয়র মো. মতলুবর রহমানের সার্বিক ও গণউন্নয়ন কেন্দ্রের বিশেষ সহযোগিতায় আয়োজিত এই আলপনা উৎসবের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন এসময় পুসাগের ব্লাড সেল ও রক্তদান কর্মসূচিরও উদ্বোধন করেন। পুসাগ সভাপতি হুসেইন মো. জীম, সাধারণ সম্পাদক এ.কে প্রামাণিক পার্থ ও নির্বাহী সভাপতি ডা. তন্ময় নন্দী জানান, স্মরণকালের মধ্যে এটি গাইবান্ধার সবচেয়ে বড় আলপনা উৎসব।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় পৌর পার্কের অভ্যন্তরের রাস্তায় তিনদিন ধরে এই বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম অনুসঙ্গ আলপনা আঁকা হচ্ছে। ২১ ফেব্রুয়ারি প্রভাত ফেরির আগে আনুষ্ঠানিকভাবে এর দ্বার উন্মোচন করবেন গাইবান্ধা পৌর মেয়র মো. মতলুবর রহমান।