বেসরকারি সংস্থা ইএসডিও কর্তৃক বাস্তবায়িত বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধা গ্রাম আদালত বিষয়ক সচেতনতা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন সভা অনুষ্ঠিত। দিনব্যাপী সভার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের এবং সরকারি বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে গ্রাম আদালত বিষয়ে সচেতনতা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থায় দেশের তুলনামূলক দরিদ্র মানুষের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত ও সহজ করতেই গ্রাম আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই আদালতের মাধ্যমে গ্রামের দরিদ্র মানুষ খুব সহজেই এবং নামমাত্র খরচে ছোট-খাটো বিরোধের নিস্পত্তি করতে পারে। এখানে দেওয়ানী ও ফৌজদারি দুই ধরনের বিরোধের নিদ্দিষ্ট ক্ষতির পরিমাণ বিবেচনায় বিরোধের নিস্পত্তি করতে পারে। এর সেবা সাধারণ মানুষের দৌর গোড়ায় আমাদের পৌছে দিতে হবে। এখন কাজ হবে জিও এনজিও একসাথে জনগনের কাছে এর ধারাবাহিকতায় সেবা সমুহ চালু রাখা।’
পরিকল্পনা প্রণয়ন সভায় সভাপতিত্ব করেন উপপরিচালক স্থানীয় সরকার মোছা. রোখছানা বেগম (উপ- সচিব)। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, প্রেসক্লাব সভাপতি কে এম রেজাউল হক, ইএসডিও গ্রাম আদালত প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী মো. আতিকুল ইসলাম, এসকেএস পাবলিক রিলেশন সমন্বয়কারী-মো.আশরাফুল আলম, জিইউকে সমন্বয়কারী-আফতাব হোসনে, আঞ্চলিক সমন্বয়কারী-ফ্রেন্ডশীপ-আব্দুস সালাম প্রমুখ।
পরিকল্পনা প্রণয়ন সভায় এনজিও প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার প্রায় ৬০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।