ডিসি স্যার না থাকলে হামরা ছোল ঘুরি পানুম না হয় (ডিসি স্যার না থাকলে আমরা বাচ্চাটা ফিরে পেতাম না)। স্যারের জন্য ব্যাচা ছোল ঘুরি পাচি (স্যারের জন্য বিক্রি করা বাচ্চা ফিরে পেয়েছি)। স্যার হামাক খাবার দিচে, ভ্যান কিনি দিচে (স্যার আমাদের খাবার দিয়েছেন, ভ্যান কিনে দিয়েছেন)। আর কোনো দিন ছোল ব্যাচা নাগবার নয় (আর কোনো দিন বাচ্চা বিক্রি করতে হবে না)। গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিনের কাছ থেকে নতুন ভ্যান পাওয়ার পর কথাগুলো বলেছিলেন সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের শাহজাহান-আঙুরি দম্পতি।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে গাইবান্ধা শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনে সন্তান জন্ম দেন দিনমজুর শাহজাহানের স্ত্রী আঙ্গুরি বেগম। সিজারিয়ান অপারেশনের বিল পরিশোধ করার সামর্থ্য না থাকায় নাড়ি ছেঁড়া ধন বিক্রি করে দেন পার্শ্ববর্তী উপজেলা সাদুল্লাপুরের এক ব্যক্তির কাছে। বিষয়টি জানার পর জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিনের হস্তক্ষেপে বুকের ধন ফিরে পান ওই মা। পরে শিশুটিসহ পরিবারের জন্য বিভিন্ন খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা করেন জেলা প্রশাসক। পরিবারটির সচ্ছলতার জন্য রোববার (৩ জানুয়ারি) সকালে নিজের কার্যালয়ে ডেকে শাহজাহান-আঙুরির হাতে নতুন ভ্যান ও খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন।
এ সময় জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন বলেন, হৃদয়বিদারক ঘটনাটি তাকে মর্মাহত করেছিল। পরে তিনি নিজে ওই পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে শিশুটি উদ্ধার করেন এবং তাদের পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতার জন্য ভ্যান দেওয়ার উদ্যোগ নেন।