গাইবান্ধা জেলার ৭টি উপজেলার বিভিন্ন ইতিহাস-ঐতিহ্য,সাফল্য-উন্নয়ন,সমস্যা-সমাধান, ঐতিহাসিক নির্দশন,অতীত,স্মৃতিবিজড়িত স্থানের ছবিসহ বিস্তারিত বিবরণ,আদিবাসী সাঁওতাল পল্লী সহ অন্যান্য জনগোষ্ঠীর উৎসব জীবণাচরণ,চরাঞ্চলের কৃষিসহ জীবিকা,বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের তথ্য থাকবে সৃজনশীল গাইবান্ধায়।
মানুষের শান্তি,সমৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ, মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে আধুনিক ও উন্নতমানের প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা এবং স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাদকমুক্ত রাখা,শিশু অধিকার বাস্তবায়ন,সকল মানুষের জন্য সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণ,স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ গঠন, সকলের জন্য পানি ও স্যানিটেশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, দারিদ্রতা হ্রাস করণ,লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ,অনগ্রসর এবং সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সার্বিক কল্যাণ,নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতকরণে পলিসি এ্যাডভোকেসি,অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ক্ষমতায়নের সঠিক দিক নির্দেশনা দানের লক্ষ্যে এই সংগঠন মূখ্য ভূমিকা পালন করবে। এসব কর্মকাণ্ডের মূলমন্ত্র হবে “জানতে হবে নিজেকে, জানাতে হবে সবাইকে (Known to me, none to all)” নীতি অনুসরণ।ইতোমধ্যে গাইবান্ধা জেলার প্রত্যন্ত- অঞ্চলের দুঃস্থ,অবহেলিত পশ্চ্যাদপদ দরিদ্র এতিম, প্রতিবন্ধী এবং অনগ্রসর মানুষের কল্যাণ,দারিদ্র বিমোচন,বেকারত্ব দূরীকরণ,পরিবার পরিকল্পনা,দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কার্য,লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ,নারী ও শিশু অধিকার বাস্তবায়ন এবং বাল্যবিবাহ,মাদক প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এই সংগঠন অনুমোদিত ভাবে বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহন ও বাস্তবায়ন করিয়াছে।তাই সরকারী অনুমোদন প্রাপ্তির সাথে সাথে এই সংস্থা একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠানে রূপ-রেখা প্রনয়নসহ বহুমুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।বাংলাদেশ বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ।
এখানে অধিকাংশ মানুষ প্রতিনিয়ত রোগ-ব্যাধি,প্রাকৃতিক দুর্যোগ,সামাজিক অবক্ষয়,অস্থিরতা,অশিক্ষা,অপুষ্টি, দরিদ্র,ক্ষুধা,মাদক,সন্ত্রাস,জঙ্গীবাদ,বাল্যবিবাহ, সামাজিক কুসংস্কার ইত্যাদির সাথে লড়াই করে আসছে।বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি বিবেকবান জনগোষ্ঠী একত্রিত ভাবে এর মোকাবিলায় এগিয়ে না আসলে এ জটিল সমস্যা সমূহ সমাধান কোন সরকারের একার পক্ষে প্রায় অসম্ভব।তাই জেলার আর্ত-পিড়ীত দুস্থ্য মানুষের বৃহৎ কল্যাণে ও অর্থনৈতিক উন্নতির পথে বাধা এই অসংখ্য সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধানের জন্য এবং দেশকে তথা পৃথিবীকে বসবাসের উপযোগী ও নতুন প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত ও উন্নত মানবসম্পদ হিসাবে গড়বার লক্ষ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনের ধারাবাহিকতায় “সৃজনশীল গাইবান্ধা” নামের অরাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে গঠন করা আমাদের প্রচেষ্টা মাত্র।আমাদের এই অগ্রযাত্রার সফল বাস্তবায়নের জন্য সর্বস্তরের সরকারী/বেসরকারী এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠির সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
– এডমিন
সৃজনশীল গাইবান্ধা