
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ বিলের ওপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। সেতুতে উঠতে একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো! দুই বছর আগে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সেচ বিভাগের অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
বিএডিসি সূত্রে জানা গেছে, বৃহত্তর বগুড়া-দিনাজপুর জেলার ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ঝাড়াবর্ষা এলাকায় খালের ওপর ১২০ ফুট প্রশস্তের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক করা হয়নি। এতে খাল পারাপারে সেতুটি কাজে আসছে না। নিরুপায় হয়ে স্থানীয়দের উদ্যোগে পরে নির্মাণ করা হয় একটি বাঁশের সাঁকো। এই সাঁকো দিয়েই সেতুতে উঠতে হয় খালের দুই পাড়ের বাসিন্দাদের।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘুড়িদহ খালের দু’পাড়ের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি সেতু নির্মাণের। অবশেষে সেতু নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়ক করা হয়নি। মানুষ কলাগাছের ভেলা আর নৌকার সাহায্যে শুরুর দিকে খাল পারাপার হন। পরে তৈরি করা হয় বাঁশের সাঁকো। এখন এটিই ভরসা।
এদিকে, উৎপাদিত শস্য বাজারজাত করতে সমস্যায় পড়তে হয় চাষিদের। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। এতে মাঝেমধ্যেই ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও। অনেকেই ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে ২ থেকে ৩ মাইল রাস্তা ঘুরে চলাচল করেন।
ঘুড়িদহ গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন জানান, সেতু নির্মাণ হওয়ার পরও সেই সেতু ব্যবহারে নির্ভর করতে হয় সাঁকোর ওপর। বিষয়টি দুঃখজনক।
ঘুড়িদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, সেতুর দুপাশে মাটি কেটে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।