সুন্দরগঞ্জে শীতবস্ত্র বিতরণে ইউএনও’র মহানুভবতা

গত এক সপ্তাহ ধরে অসহনীয় ঠান্ডায় থরথরে কাঁপছে উত্তরের জনপদ। বিশেষ করে ছিন্নমুল অসহায ও তিস্তার চরাঞ্চলের পরিবারগুলো কাহিল হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল শীতবস্ত্র প্রকৃত অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সে কারণে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ গত এক সপ্তাহ ধরে গভীর রাতের অন্ধকারে উপজেলার এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়িয়ে অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে গিয়ে বিতরণ করছেন শীতবস্ত্র। গত শনিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার শান্তিরাম গ্রামের কমপক্ষে ৫০ জন অসহায় পরিবারের বাড়িতে গিয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করে উপজেলা নিবার্হী অফিসার। ইউএনও’র এই মহানুভবতায় বিমুগ্ধ অসহায় পরিবাগুলো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল, ইউএনও শিশু কন্যা মাহাবিন মুনতাহা, বেলকা মজিদ পাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও গণমাধ্যম কর্মী আব্দুল মান্নান আকন্দ, বেলকা ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুল মাজে, স্থানীয় সুধি মন্জু মিয়া, আব্দুল কাদের, রফিকুল ইসলাম প্রমূখ। রাতের অন্ধকারে গরিবের বাড়ি গিয়ে কম্বল বিতরণকে লক্ষ করে শান্তিরাম ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মমতাজ আলী সরকার জানান, তার ৬০ বছর বয়সে কোন ইউএনও এবং পিআইওকে এভাবে রাতের অন্ধকারে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখেনি। প্রকৃত সুবিধাভোগীরা শীতবস্ত্র পেয়ে অত্যন্ত খুশি এবং উপকৃত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। উপজেলা নিবার্হী অফিসার জানান, প্রশাসন চান, প্রকৃত সুবিধাভোগীরা সকল প্রকার সেবা পাক। কিন্তু পরিস্থিতির যাতাকলে তা হচ্ছে না। তাই সকলকে প্রকৃত মানবসেবায় এগিয়ে আসতে হবে।