গাইবান্ধাসাদুল্যাপুর

সাদুল্লাপুরে স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানি, স্বাস্থ্য সহকারীকে আটক

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে টিকাকেন্দ্রে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী মমিন প্রামাণিককে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (৭ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক মমিন প্রামাণিকের বাড়ি সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে। তিনি সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার বেলা ১১টার দিকে মহেশপুর গ্রামের মৃত ফজল উদ্দিন মাস্টারের বাড়ির কেন্দ্রে টিকা (বয়ঃসন্ধি) প্রদান কার্যক্রম চলছিল। কেন্দ্রেটিতে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী মমিন প্রামাণিক দায়িত্বে ছিলেন। এ সময় দশম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী টিকা নিতে রুমের ভেতরে গেলে মমিন যৌন নির্যাতন করেন। ওই ছাত্রী চিৎকার দিলে রুমের বাইরে চলে আসেন মমিন।

পরে উপস্থিত লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে মমিনকে আটকের চেষ্টা করেও ধরতে পারেননি। স্থানীয় এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে মহেশপুর গ্রাম থেকে মমিনকে আটক করে।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বলেন, ‘৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে অভিযান চালিয়ে মমিনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’

তবে এ বিষয়ে জানতে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীনুল ইসলাম মণ্ডলের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Back to top button