গাইবান্ধাগাইবান্ধা সদর

ম্রিয়মাণ পালপাড়া এখন রঙিন হাসিতে উদ্ভাসিত

করোনাকালের দুঃসময়ে গাইবান্ধার পালপাড়াগুলো ¤্রয়িমাণ হয়ে পড়েছিল। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে পালপাড়াগুলো এখন রঙিন হাসিতে উদ্ভাসিত হয়েছে। উপকরণের দাম বাড়লেও তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা বাড়ায় কুমারদের মুখে হাসির ঝিলিক। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর তারা তাদের তৈরি জিনিসের দামও পাচ্ছেন ভালো। মাটির তৈরি জিনিসের মধ্যে রয়েছে হাতি, ঘোড়া, আম, পেয়ারা, কলা, ব্যাংক, নানা রকমের পুতুলসহ হরেক রকমের খেলনা।

করোনা সংক্রমণরোধে নানা বিধি নিষেধের কারণে গত একবছর বিভিন্ন পার্বন ও উৎসব উপলক্ষে মেলা সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। ফলে গত বছর থেকে অষ্টমী ¯œান, নববর্ষ, দুর্গাপূজায় মৃৎশিল্পী কুম্ভকার বা কুমাররা হয়ে পড়েছিলেন বেকার। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করেছেন। কিন্তু এ বছর করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় খোলা মাঠে না হলেও পূজা প্রাঙ্গণে স্বল্প পরিসরের মেলায় মাটির তৈরি হাতি, ঘোড়া, ব্যাংক, খেলনা, জিনিসপত্র বিক্রির আশা করছেন তারা। গাইবান্ধার বিভিন্ন পালপাড়া ঘুরে কুমারদের সাথে আলাপ করে তাদের খুশির কথা জানা গেছে।

সদর উপজেলার বাদিয়াখালির পালপাড়ার বিথি রাণী পাল বলেন, এবছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে পূজার ৪দিন আগে থেকে জিনিসপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এমনকি বগুড়া থেকেও পাইকাররা এসে জিনিসপত্র কিনে গিয়ে গেছে। তিনি দামও ভালো পেয়েছেন।

একই পাড়ার নারায়ণ চন্দ্র পাল পূজা উপলক্ষে তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করতে পেরে খুশি হলেও অভিযোগ করে বলেন, আমাদের খবর ও ছবি পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়, কিন্তু আমরা সরকারি কোনো সাহায্য পাই না।

-ছবি তুলেছেন কুদ্দুস আলম
সুত্র: আমারজেলা ডট নিউজ 

Back to top button