গাইবান্ধাসাঘাটা

মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছে সাঘাটার চরাঞ্চলের ১শ’ পরিবার

মুজিব জন্মশতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় ভ‚মি ও গৃহহীনদের জন্য ২০ট ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে। এতে উপজেলার ভ‚মিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর ভাগ্য বদলে যাবে। তারা পাবে মাথা গোজার ঠাঁই।

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় চরাঞ্চলের ১০০টি পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। অধীর আগ্রহে উপকারভোগীরা সময় পার করছেন কখন তাদের তাদের স্বপ্নের গৃহে উঠবে। ‘আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ মুজিববর্ষে সাঘাটা উপজেলায় গৃহহীন ও ভুমিহীন মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আবাসন হিসেবে প্রদত্ত এসব ব্যারাক নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর দীঘকান্দি পূর্বপাড়া সিপি চরে নির্মিত চার ইউনিট বিশিষ্ট ২০টি ব্যারাকের ১০০টি গৃহ হস্তান্তর করেন প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়কারী মেজর রাজিউর রহমান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের অধিনস্থ ৭২ ব্রিগেডের ৩৪ ই-বেঙ্গল (মেক)-এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নির্মাণ কাজ শেষে সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবীর ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিনের কাছে এসব ব্যারাকের চাবি হস্তান্তর করা হয়।

এসময় সাঘাটা উপজেলা পরিষদের ভাইস েেচয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, সাঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিঠুন কুন্ডু, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান মন্ডল, হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী প্রধান, ঘুড়িদহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, প্রকল্প চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সেনাবাহিনীর কাছ থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের চাবি গ্রহন করে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ি সাঘাটার উত্তর দীঘকান্দি পূর্বপাড়া সিপি চরের ১০০টি ভ‚মিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য ব্যারাক নির্মাণ শেষ হয়েছে। দ্রæততম সময়ের মধ্যে উপকারভোগীদের তালিকা প্রনয়ণ করে এসব ঘর তাদের হস্তান্তর করা হবে।

সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবীর জানান, এ আশ্রয়ন প্রকল্পে ৪টি ইউনিটে ২০টি পাকা ব্যারাকে ১০০টি সেমি পাকা ঘর, ১টি মসজিদ, ১০টি নলকুপ ও ৪০টি শৌচাগার স্থাপন করা হয়েছে। এতে ১০০টি গৃহহীন পরিবারের পূণর্বাসন হবে।

Back to top button