গাইবান্ধাগাইবান্ধা সদর

মধ্য মাঘে গাইবান্ধায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা

উত্তরের জেলা গাইবান্ধায় মধ্য মাঘে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা না থাকলেও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শহরের তুলনায় তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা বেষ্টিত জেলার সুন্দরগঞ্জ, সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চর এলাকায় শীতের প্রকোপ আরও বেশি।

শীতে জবুথবু জনজীবনে আরও বেশি আতঙ্কের হয়ে দাঁড়িয়েছে ঠাণ্ডাজনিত নানা উপসর্গ।স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় শিশু-বৃদ্ধসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গত এক মাসে জেলা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে রোগী বাড়ছে।

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শহরবাসীরা কেউ বাড়ির বাইরে আসছেন না। তবে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুররা। নিতান্ত পেটের দায়ে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে তাদের। তীব্র শীতে কাজেরও সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে শৈতপ্রবাহের সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় তাপমাত্রা নিম্নগামী হতে শুরু করে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত প্রকৃতি কুয়াশাচ্ছন্ন থাকার পর দুপুরে আকাশে কিছু সময়ের জন্য সূর্য দেখা গেলেও তাতে উষ্ণতা ছিলো না। তার সঙ্গে হিমেল হাওয়ার প্রকোপে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।

গাইবান্ধা জেলা শহরের পুলবন্দী এলাকার আসিয়া বেগম (৫২)বলেন, ‘হঠাৎ করি শীত বাড়ি গেইছে। কুয়াশা নাই, ঠাণ্ডা বাতাসোত খুব শীত নাগতোছে। ঘর থেকে বাইরে হওয়া যাতিছে না। খুলিত বান্দা গরুগুলাও শীতোত ডোকরাতিছে।’

সদর উপজেলার কামারজানী ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র পাড়ের বাসিন্দা ইদ্রিস মিয়া বলেন, ‘শহরোত কী ঠাণ্ডা, নদীর পাড়োত বেশি ঠাণ্ডা। শীতোত এ্যাটে না আসিয়া বুঝা যাবার নয়। এ্যাটে কুয়াশাও আচে, ঠাণ্ডা বাতাসও মেলা। ঘরের ভিতরোত থাকিয়াও ছইলগুলার নাক থ্যাকি পানি গরাইতেছে। অইদও আইসে আর যায়। হামরা ঠান্ডাত অনেক মুশকিলোত পড়ছি।’

জেলায় সরকারি, বেসরকারি ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় ‘অপ্রতুল’ বলেও দাবি করছেন কেউ কেউ। তবে প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা বলেছেন, সরকারের ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে আসা শীতবস্ত্র পর্যাপ্ত রয়েছে। ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকে এগিয়ে আসছেন।

সুত্র: আমারজেলা ডট নিউজ

Back to top button