গাইবান্ধাপলাশবাড়ী

ভাঙ্গা ব্রীজে বাঁশের চাটাই দিয়ে চলাচলে এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের জাফর মুংলিশপুর গ্রামে স্কুল সংলগ্ন ছকআটাধরে চলাচলের রাস্তায় ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এলাকাবাসী বাঁশের চাটাই দিয়ে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। ভাঙ্গা ব্রিজ দিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, পথচারীসহ এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ভূক্তভোগী এলাকাবাসীর দাবী দ্রæত সম্ভব ব্রিজটি সংস্কার করে চলাচলে উপযোগী না করা হলেও দরুন ভোগান্তি পোহাতে হবে।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের করতোয়া পাড়া আমবাগান নামক স্থানে প্রায় ২০ বছর পূর্বে ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করে অত্রালাকার আখ চাষীদের কাছ থেকে আখ ক্রয় করা হয়। ওই সময় কিশোরগাড়ীর মুংলিশপুর এলাকার আখ চাষীদের আখ আমবাগান ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সুবিধার্থে ব্রিজটি নির্মাণ করেন কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় জাফর মুংলিশপুর, হাসানখোর, পশ্চিম রামচন্দ্রপুর, জাইতরবালাসহ আশে-পাশের অন্যান্য গ্রামের মানুষজন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ওই ব্রিজ দিয়ে অত্রালাকার মানুষজন বাইসাইকেল, মোটর সাইকেল, ব্যাটারী চালিত অটোভ্যান, মালবাহী ভ্যান ছাড়াও কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপন্য বিক্রয়ের জন্য হাট-বাজারগুলোতে নিয়ে যায়। এলাকাবাসীর দাবী মানুষজনের দূর্ভোগ কমাতে ছোট একটি কালভার্ট বা ব্রিজ নির্মাণ করা হলে চলাচলে ব্যবস্থা লাঘব হবে।

ওই গ্রামের কৃষক ওসমান আলী, আঃ লতিফ ও বাবলু মিয়া জানান, ভাঙ্গা ব্রিজের স্থানে ছোট খাটো একটি কালভার্ট বা ব্রিজ নির্মাণ হলে আমাদের এলাকার মানুষজন কিছুটা হলেও দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে। তারা উপজেলা প্রশাসনসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে দ্রæত একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ইউপি সদস্য মর্জিনা বেগম এবং আলমগীর হোসেন জানান, ওইস্থানে ছোট কালভার্ট দিয়ে কোন করা হবে না। তবে একটি সেতু নির্মাণ হলে মানুষজনের দুর্ভোগ কমে যাবে।

কিশোরগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ওই এলাকার দুর্ভোগ কমাতে একটি ত্রাণের সেতু নির্মাণ করা হলেও মানুষজন যাতায়াত করতে পারবে। পাশাপাশি ওই এলাকার ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া এবং কৃষকদের কৃষিপন্য বাজারজাত করণে যাতায়াতের ব্যবস্থা ভালো হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান নয়ন জানান, ভাঙ্গা ব্রিজটির বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Back to top button