বৃষ্টি বিঘ্ন ঈদ

ঈদ মানেই আনন্দ। বছর ঘুরে এ দিনটি এলে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজনসহ প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দে মিলিত হয় সবাই। ঈদের নামাজ আদায় করেই সবাই যে যার মতো বের হয়ে পড়েন ঘুরতে। আড্ডায় মেতে ওঠেন, পুরনো দিনের স্মৃতি রোমন্থনসহ নানা গল্পে। কিন্তু এবার সেই আনন্দে বাদ সেধেছে বৃষ্টি।
মঙ্গলবার (০৩ মে) পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন গাইবান্ধাসহ দেশের প্রায় সব এলাকায় হালকা-মাঝারী বৃষ্টি ও ঝড়-বজ্রপাতের খবর পাওয়া গেছে। এদিন ভোর থেকেই আকাশে মেঘ জমতে থাকে। তবে বৃষ্টির কারণে মানুষ স্বস্তি পেলেও দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। বৃষ্টি হলেও ঈদ জামাতে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।
মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। অবশ্য সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সোমবারই ঈদ উদযাপন করেছেন গাইবান্ধাসহ দেশের বেশকিছু গ্রামের মানুষ। প্রতিবারের মতো এবারো গাইবান্ধায় ঈদের প্রধান জামাতসকাল সোয়া ৮টায় স্টেডিয়াম সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়।
গোরস্থান জামে মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল আটটায়। এরপর স্টেডিয়াম সংলগ্ন কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল সোয়া আটটায় ঈদের প্রধান জামাত শুরু হয়। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। রাজনীতিক, জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও পৌর মেয়রসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ গাইবান্ধা ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন। বিধিনিষেধের বেড়াজালে গত দুই বছর বন্ধ ছিল কোলাকুলি। অবস্থার পরিবর্তনে বাঁধনহারা আনন্দ উদ্যাপনে ফিরে এসেছে ঈদের সেই চিরচেনা রূপ।
তবে নামাজের আগে সকালের দিকে গাইবান্ধার বেশ কিছু এলাকায় এক পশলা বৃষ্টির দেখা মিলেছে। সকালে ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিরা যখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন হঠাৎই বৃষ্টি শুরু হয়। তবে নামাজে শেষ পর্যন্ত কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। তার আগেই বৃষ্টি থেমে যায়।
অন্যদিকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার সকালে ঈদের নামাজ শেষ হওয়ার পরপরই সাড়ে ৯টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো বাতাস, সঙ্গে বৃষ্টি। মুসল্লিদের অনেকেই নামাজ শেষে বাসায় ফিরতেই পারেননি, বৃষ্টিতে আটকে পড়েন। যারা প্রথম ধাপে নামাজ আদায় করে বাইরে বেরিয়ে পড়েছেন তাদের আনন্দও মাটি হয়ে গেছে। তবে বৃষ্টির মাত্রা কম হলেও যেভাবে ঝরছে তাতে ঘরে থাকা ছাড়া উপায় নেই মানুষের।
এর আগে সোমবারআবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছিল, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
ওইদিন আবহাওয়ার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।