গাইবান্ধাফুলছড়ি

ফুলছড়িতে বোরো ধান চাষে ব্যস্ত কৃষক

ফুলছড়িতে বোরো ধান চাষে ব্যস্ত কৃষক। ছবি: আজকের পত্রিকা গাইবান্ধার ফুলছড়িতে বোরো ধান চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা। চলতি বছর ধানের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে উৎসবের আমেজ লক্ষ করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক জমিতে চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি অফিস সূত্রে জানায়, ফুলছড়ি উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৬৯৩ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ১ হাজার ৮৮৫ হেক্টর, উফশী জাতের ৪ হাজার ৬৫৮ হেক্টর এবং ১৫০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কৃষকদের ধান চাষে আগ্রহের কারণে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

জানা যায়, চলতি বছর বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় আমন মৌসুমে বাম্পার ফলন পেয়েছিলেন কৃষকেরা। দামও পেয়েছেন ভালো। সেই আলোকে বোরো আবাদে মনোযোগী হয়েছেন তাঁরা। বীজতলায় চারা বড় হওয়ায় তাঁরা সকাল থেকে জমি প্রস্তুতের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কোথাও কোথাও গভীর নলকূপ থেকে তোলা হচ্ছে সেচের পানি। ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করে সারি সারি ধানের চারা লাগানো হচ্ছে। শ্রমিকের বীজতলা থেকে ধানের চারা তুলে জমিতে রোপণ করছেন। বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু হওয়ার পর থেকে কৃষিশ্রমিকের কদরও বেড়ে গেছে।

উদাখালী ইউনিয়নের উত্তর কাঠুর গ্রামের কৃষক মাহবুবার রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিবারই বোরো ধানের আবাদ করি। গত বছর বোরো ধানের আবাদ করে লাভবান হয়েছি। এবারও সে আশায় জমিতে বোরো আবাদ শুরু করেছি। এবার কোনো জায়গায় পতিত রাখব না।’ উদাখালী গ্রামের কৃষক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘বোরো আবাদে বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ার একটু ঝুঁকি থাকে। বর্ষার হাত রক্ষা পেতে তাই আগেভাগেই ধান লাগানো শুরু করেছি।’

ছালুয়া গ্রামের বর্গাচাষি শাহজাহান আলী বলেন, ‘গত বছর বোরো ধানের দাম ভালো হওয়ায় এবার জমির বর্গামূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ৩৩ শতকের এক বিঘা জমি ১ লাখ টাকায় বর্গা পাওয়া যেত, কিন্তু এখন দেড় লাখ টাকাও পাওয়া যায় না।

Back to top button