
গাইবান্ধায় ফুলছড়িতে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করা হয়েছে। এতে ওই পুকুরের রেণু ও কাপজাতীয় মাছ নষ্ট হয়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষী দাবি করছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ভোরে উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মদনেরপাড়া গ্রামের নাছিম উদ্দিনের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষী জুয়েল মিয়া বলেন, আমি একজন ছাত্র। করোনাকালীন সময় স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) থেকে ২০ হাজার টাকার ঋণ ও বিভিন্নজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে আমার বাবার দেড় বিঘা পুকুরে, সিলভার কার্প, রুই, তেলাপিয়া, পুঁটিসহ দেশীয় বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করেছি। কিছু দিনের মধ্যেই মাছগুলো বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠতো। কিন্তু আমার ক্ষতি করার জন্য কেউ বিষ প্রয়োগ করে মাছগুলো মেরে ফেলেছে।
জুয়েল মিয়ার বাবা নছিম মিয়া বলেন, প্রথমে শুক্রবার বিকেলে আমাদের ধারণা হয়েছিল অক্সিজেনের অভাবে মাছ মরে ভেসে উঠছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে পুকুরের গিয়ে দেখি সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। তখনই বুঝতে পারি বিষ প্রয়োগের কারণেই মাছ মরে গেছে।কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিটন মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে বলেন, ভুক্তভোগী জুয়েল মিয়া ধারদেনা করে কষ্টের টাকা দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছিল। কিন্তু শত্রুতা করে তার স্বপ্ন পূরন করতে দিলো না। যারা পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলার মতো এই জঘন্যতম কাজ করেছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের শাস্তি হওয়া দরকার।
এ বিষয়ে ফুলছড়ি মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদা বেগম জানান, বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে অফিসের লোক পাঠিয়েছিলাম। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে বিষ প্রয়োগের কারণেই মাছগুলো মারা গেছে। আমরা পুকুরের পানি পরীক্ষার জন্য নিয়ে এসেছি। পরীক্ষার রিপোর্ট এলে সঠিক কারণ জানা যাবে।