রাজনীতি

দ্বাদশ নির্বাচনের প্রস্তুতির নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার তৈরির প্রস্তুতির বিষয়ে দলের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য দলের বিভাগীয় উপকমিটিগুলোকে বিষয়ভিত্তিক সেমিনার করতে বলেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠক শেষে গণভবন গেটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার গণভবনে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বৈঠকে ফোকাস ছিল সাংগঠনিক বিষয় ও পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে। পরবর্তী (দ্বাদশ) নির্বাচনের প্রস্তুতির লক্ষ্যে আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন করার নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।

দলের বিভিন্ন উপকমিটিগুলোর সেমিনারের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচনের যে ইশতেহার হবে সেখানে যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত হবে সেগুলো আপডেট করার জন্য উপকমিটিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেমন স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় আমরা কী কী অন্তর্ভুক্ত করবো তুলে ধরা হবে।

তিনি বলেন, মেইনলি ৮টি বিভাগের ৮ জন সাংগঠনিক সম্পাদকের বক্তব্য তিনি শুনেছেন। চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেশে নেই সেখানে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলমের বক্তব্য শুনেছেন। ৮ বিভাগের নেতারা নিজেরা লিখিত রিপোর্ট করেছেন। তাঁদের এলাকার ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যন্ত রিপোর্ট উত্থাপন করেছেন নেত্রীর সামনে।

তিনি বলেন, যেখানে যেখানে সাংগঠনিক সমস্যা আছে, সমাধান করা দরকার সেগুলোর ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন নেত্রী, কিছু কিছু ছোট-খাট কলহ বিবাদ আছে সেগুলোও মীমাংসা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

কাদের বলেন, পাবনায় পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে প্রায় বিশজনের মতো নেতা বিদ্রোহ করেছেন। পৌর এবং সদর এলাকায় এ নেতারা ক্ষমা চেয়ে একটা চিঠি পাঠিয়েছেন, তাঁদের ক্ষমা করে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, যারা দলের শৃঙ্খলা বাইরে কাজ করেছে বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে, তাঁদের ব্যাপারে ছাড় দেওয়া যাবে না। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র ততই বাড়ছে, এসব অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে। চক্রান্তমূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।

কাদের বলেন, করোনায় মোকাবিলায় দলীয় ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দলীয় সভাপতি।

নোয়াখালীর ব্যাপারে সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকের সভায় কোনো কথা হয়নি; সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটা কাঠামো তৈরি করেছে। এ ব্যাপারে নেত্রীও অবহিত আছে। স্বপন এখন দেশের বাইরে আছে। ফিরে আসলে প্রকাশ করা হবে।

আপনার ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা দাবি করেছেন আপনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কিছুই জানি না।

সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আজকের বৈঠকের এজেন্ডায় ছিল না।

Back to top button