গাইবান্ধাগোবিন্দগঞ্জ

গোবিন্দগঞ্জ মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার এখন রেনু উৎপাদনে এগিয়ে

১৯৬৯সালে স্থাপিত হয় মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার গোবিন্দগঞ্জ,গাইবান্ধা,এই খামারের কার্যক্রম শুরু হয় -১৯৮৪সালে।১৯৮৮-২০১১ইং ২৯মার্চ পর্যন্ত গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশনের অধীনে ছিল এই খামারটি। তৎকালীন তেমন কোন কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়নি। বর্তমানে কৃষি বান্ধব সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের আমিষের চাহিদা পূরনের লক্ষে মৎস্য উৎপাদন কার্যক্রম জোরালোভাবে শুরু করেন ।

এরই ধারাবাহিকতায় মৎস্য ফাউন্ডেশনের নিকট থেকে ২৮টি মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার মৎস্য অধিদপ্তরের আওতায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শীতায় সরকার গ্রহন করেন,এর মধ্যে মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার গোবিন্দগঞ্জ,গাইবান্ধা অন্যতম । মৎস্য খামারটি গ্রামীনের আওতায় থাকা কালে অত্র খামারের জমি-জমা ,মাঠ রেকর্ডের মাধ্যমে ব্যক্তিগত মালিকানায় নেয়ার চেষ্টা করে ভুমিদস্যূরা ।

এমতাবস্থায় খামার ব্যবস্থাপক হিসাবে গত ১১-০৭-২০১৬ইং খ্রি: এ মো: আলতাফ হোসেন চৌধুরী যোগদান করেন। তার যোগদানের পর থেকে বিচারিক আদালতে যোগাযোগ করে এবং স্থানীয় সেটেলমেন্ট অফিসে ৩০ধারা ৩১ধারা কেস এবং অন্য মামলা ২৯০/৯৪ এর জন্য আইনজীবীদের পিছনে ঘুরতে ঘুরতে হাফিয়ে উঠেন। কিন্ত হার না মেনে পথ চলতে থাকেন। যার ফলশ্রæতিতে অনুমোদিত নামজারি কেস নাম্বার ৫৪৭-২০১৬-১৭, বাংলাদেশ গেজেট (মার্চ-৮,২০১৮) এল,এ কেস নং -৯/৬৯-৭০এবং মাঠ রেকর্ড পর্চা নাম্বার এ/সি,৯৭৬৬/১৩/পেয়ে যান।

এই কাজে যারা সহযোগীতা করেছেন তাদের মধ্যে মহা-পরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর বাংলাদেশ,ঢাকা জনাব, কাজী শামস আফরোজ স্যার, যিনি খামার ব্যবস্থাপকের অনুকুলে সরাসরি আইনের বরাদ্দ প্রদান করেছেন। এবিষয়ে আরও সহযোগীতা করেন,জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গাইবান্ধা, জনাব আব্দুদ দাইয়ান,সার্বক্ষনিক পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে উপ-পরিচালক ,মৎস্য অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগ ড. মোহাঃ সাইনার আলম।আরও সহযোগীতা করেন, জনাব এস,এম আবুল বাসার সহকারী পরিচালক ,প্রশাসন -১ মৎস্য অধিদপ্তর ঢাকা, এবং সাবেক ও বর্তমান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উপ-পরিচলক মহোদয়গন। ইতিপূর্বে এই খামারে কার্প জাতীয় মাছের রেনু উৎপাদন সম্ভব হয়নি।

২০১৭ইং সালের জুন মাসে বৃহত্তর রংপুর মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কার্প হ্যাচারী স্থাপনের মাধ্যমে উক্ত কর্মকর্তার অক্লান্ত পরিশ্রমে ২০১৭ইং সালের ১০ অক্টোবরে ২টি সিলভার কার্প ও ২টি সরপুঁটি ইঞ্জিকশন করে ব্রিডিং এর মাধ্যমে রেনু উৎপাদন শুরু হয়। উক্ত দিবসটি গোবিন্দগঞ্জ মৎস্য হাচারীর জন্য স্মরনীয় হয়ে থাকবে। বর্তমানে অত্র হ্যাচারীতে কার্প জাতীয় মাছের রেনু সফল ভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে অত্র উপজেলা সহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা,জেলায় রেনু সরবরাহ করা হচ্ছে যা মৎস্য চাষীদের জন্য সুবিধা বয়ে এনেছে।

অত্র খামারে ২০১৮ইং সালে চিতল মাছের রেনু উৎপাদনের মাধ্যমে আরেক মাইল ফলক স্থাপন করা হয়।বর্তমানে বৃহত্তর রংপুর বিভাগের সরকারী১৭টি মৎস্য খামারের মধ্যে শুধু গোবিন্দগঞ্জে এটি সম্ভব হয়েছে। রেনু উৎপাদন ছাড়াও উক্ত খামারে ফুলের বাগান,মাল্টা বাগান,শাক সব্জি বাগান,বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। উক্ত কর্মকর্তার প্রচেষ্টায় খামার উন্নয়নের বিপ্লব ঘটায় মৎস্য চাষীরা গুনগত মানসন্মত রেনু পেয়ে মৎস্য চাষে অবদান রাখছে।

Back to top button