গাইবান্ধা-পলাশবাড়ি সড়কের সাকোয়ায় ইপিজেড স্থাপনের দাবিতে গণসমাবেশ

গাইবান্ধা-পলাশবাড়ি সড়কের সাকোয়া ব্রিজ এলাকায় ইপিজেড স্থাপনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও গণসমাবেশ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার (০৯ অক্টোবর) পলাশবাড়ী উপজেলার ঢোলভাঙ্গা বাজারে এসব কর্মসূচির আয়োজন করে সাকোয়া ব্রিজ ইপিজেড বাস্তবায়ন মঞ্চ।
ঢোলভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে জাসদ জেলা সভাপতি গোলাম মারুফ মনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন- গাইবান্ধা নাগরিক মঞ্চের সদস্য সচিব অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, সিপিবি জেলা সভাপতি মিহির ঘোষ, জাহাঙ্গীর কবীর তনু, মৃনাল কান্তি বর্মন, ওয়ারেছ আলী, কাজী একরাম হোসেন, অঞ্জলী রাণী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধার সাবেক জেলা প্রশাসক ড. কাজী আনোয়ারুল হক জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার সাঁকোয়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ইপিজেড স্থাপনের প্রস্তাব সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করেছিলেন, যা গাইবান্ধাবাসী সার্বজনীনভাবে গ্রহণ করেছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ষড়যন্ত্রকারী মহল তৎকালীন জেলা প্রশাসকের প্রস্তাবনা ধামাচাপা দিয়ে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিরোধপূর্ণ রংপুর চিনিকলের জায়গায় ইপিজেড করার পাঁয়তারা করছে।
সাকোয়া ব্রিজ এলাকায় ইপিজেড নির্মিত হলে বিনিয়োগকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগে আগ্রহী হবে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এখানে ইপিজেড স্থাপিত হলে রাজপথ, রেলপথ, নৌ-পথ, হেলিপ্যাড ব্যবহারের সুযোগ পাবেন বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা, সাদুল্লাপুর, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার কর্মজীবী মানুষসহ আশেপাশের জেলার কর্মজীবী মানুষ এ এলাকায় সহজ যোগাযোগের কারণে ইপিজেডে যাতায়াত করতে পারবে।
বক্তারা বলেন, আগামী সাতদিনের মধ্যে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বিরোধপূর্ণ জায়গায় ইপিজেড স্থাপনে বেপজার এক তরফা ঘোষনা প্রত্যাহার না হলে সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে পলাশবাড়ির সাকোয়া ব্রিজ এলাকায় ইপিজেড বাস্তবায়নের পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবে।