
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে চাষ হচ্ছে জামাই সোহাগি ধান। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। এর পোলাও এবং ভাত বেশ মিস্টি ও সুস্বাদু। আসছে শীতে জামাই আসবে শশুরবাড়ীতে একথা ভেবেই জামাইয়ের শাশুড়িরা অনেকটা বাধ্য করে চাষ করান এ জামাই সোহাগি ধান।
এ অঞ্চলে জামাই বাড়ীতে এলে শাশুড়িরা জামাই সোহাগি ধান মেশিনে ভেঙ্গে এনে আগে ভাগে তৈরী করে রাখেন। এর সঙ্গে রাখেন দেশীয় বড় পাঠা মুরগি এবং বড় হাঁসা।
সারারাত চলে এ ধানের আটা দিয়ে রকমারি পিঠা-পুলি আর গাছের নারিকেল, কিচমিচ বাদামের পায়েস। এর আগে দেওয়া হয় জামাই সোহাগি ধানের চালের গরম গরম পোলাও আর দেশীয় পাঠা মুরগির ঝোল দিয়ে খাবার।
সকালে দেওয়া হয় রাত্রে বানানো বিভিন্ন রকমারী পিঠা -পুলি সঙ্গে নারিকেল দিয়ে গরম গরম ভাপা পিঠা।
দুপুরে দেশীয় গরুর মাংস ছোট ছোট করে কেটে জামাই সোহাগি চালের ভূনা খিচুড়ি।
কিছু কিছু পরিবারে এসব প্রচলন উঠে গেলেও এখনো অনেক পরিবার ধরে রেখেছেন তাদের পূর্বের ঐতির্য্য।
এভাবেই পলাশবাড়ী উপজেলায় জামাইদের জামাই সোহাগি ধানের চাল দিয়ে করা হয় আদর সম্মান।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, উপজেলায় জামাই সোহাগী ধান চাষ হয়েছে ৬০ হেক্টর জমিতে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশ্র বিটিসি নিউজকে জানান, পলাশবাড়ীর আবহাওয়া এ ধান চাষের অনূকুলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে।