গাইবান্ধাগাইবান্ধা সদর

গাইবান্ধার ঘাঘট নদীতে সূর্য পূজা

গাইবান্ধার ঘাঘট নদীতে বুধবার (১০ নভেম্বর) হিন্দুধর্মাবলম্বীরা ডালা-কুলা সাজিয়ে সূর্য দেবতার পূজা করেন। প্রতিবছর কালী পূজার পর শুক্ল পক্ষের ষষ্টি তিথিতে সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে ঘাঘট নদীতে এ আয়োজন করা হয়। অবাঙালি হিন্দু এবং রবিদাস, বাসফোর ও ধোপা সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘ষট বা সূর্য পূজা’। সকলের মঙ্গল ও কল্যাণ কামনায় সারাদিন উপবাস থেকে সূর্যাস্তের সময় নারীরা নানা উপাচারে সূর্যদেবের আরাধনা করেন।

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বুধবার গাইবান্ধা জেলা শহরের নতুন ঘাঘট ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় পালিত হয়েছে সূর্য পূজা। মনোবাসনা পূর্ণ, আপদ-বিপদ দূরীকরণ, বিভিন্ন মানত পূরণে হিন্দু ধর্মালম্বী হরিজন, রবিদাস ও রজক সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হাজার হাজার পূণ্যার্থীর সমাগম ঘটে এই সূর্য পূজায়।

বুধবার বিকেলে পূজারীরা উপবাস থেকে ফুল, প্রসাদ, বাদ্য-বাজনাসহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী নিয়ে গাইবান্ধার ঘাঘট নদীর তীরে উপস্থিত হয়ে সূর্য অস্তের পূর্ব মুহুর্তে ভক্ত ও পূণ্যার্থীরা নদীর পানিতে দাঁড়িয়ে ডালা-কুলায় সাজানো প্রসাদ নিয়ে পূজা করেন। সূর্য অস্তের পর সকলেই বাড়িতে ফিরে যান। বৃহম্পতিবার ভোরে সূর্য স্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সূর্য পূজা।

প্রতিবছর কালী পূজার পর শুক্ল পক্ষের ষষ্টি তিথিতে গাইবান্ধার ঘাঘট নদীতে অবাঙালী হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্ত ও পূণ্যার্থীরা সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে এই পূজা উদযাপন করে।

সূর্য পূজা করতে আসা এক পূজারী বলেন, আমরা সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতেই এই পূজা করে থাকি। এই পূজাকে ছট পূজাও বলা হয়। ছট পূজার মাধ্যমে সূর্য দেবতা সন্তুষ্ট হয় আর আমাদের মনোবাসনা, মানত পূরণ করে দেয়। এই আশায় আমরা প্রতিবছর এই ছট পূজা করতে আশি এই ঘাঘট নদীর তীরে। এছাড়াও দেশ ও জাতিসহ সকলের শান্তি কামনায় এই পূজা করা হয়।

Back to top button