গাইবান্ধাগাইবান্ধা সদর

ইউপি নির্বাচন: গাইবান্ধার ১৩ ইউনিয়নে রাত পোহালেই ভোট

রাত পোহালেই ভোটের লড়াই। উৎসব-উত্তেজনা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের অপেক্ষায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ৩ লাখ ৪ হাজার ১শ’ ৪৬ জন ভোটার। প্রস্তুত নির্বাচন কমিশনও। ইতোমধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাও তাদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণার ইতি টেনেছেন।

এখন ভোট গ্রহণের পালা। মঙ্গলবার রাত থেকে শেষ হয় নির্বাচনের জমজমাট প্রচারণা। এবার ভোটযুদ্ধের প্রচারণায় রীতিমতো উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছে। ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণে প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা নিরন্তর চেষ্টা করেছেন। প্রচারের শেষদিনও প্রার্থীদের নানা প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা যায়। ভোটারদেরও প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতির বিচার-বিশ্লেষণ করতে দেখা যায়। অফিস-আদালত, চায়ের আড্ডা, মাঠে-ঘাটে আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে নির্বাচন।

বুধবার (১০ নভেম্বর) সরেজমিন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গাইবান্ধার ১৩টি ইউনিয়নে নির্বাচনী এলাকার অলিগলি সর্বত্রই পোস্টার ও প্রতীকের ছড়াছড়ি। গোটা উপজেলায় বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এদিকে ভোট সামনে রেখে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের টহল অব্যাহত রয়েছে।

রাত পোহালেই বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল আটটা থেকে গাইবান্ধার ১৩টি ইউনিয়নে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। চলবে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত।এবার উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ব্যালট পেপার এবং একটিতে ইভিএম এর মাধ্যমে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ১২০টি ভোট কেন্দ্রের জন্য ব্যালট পেপার ও বক্স, সিল, ফরম, প্যাকেটসহ সবধরনের নির্বাচনি সামগ্রী এবং লক্ষ্মিপুর ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রে ইভিএমসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম বুধবার সকাল থেকে পাঠানো শুরু হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে প্রিজাইডিং অফিসার থাকবেন। প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে এসব নির্বাচন সরঞ্জাম বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসাররা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যের সহায়তায় নির্বাচনি সরঞ্জাম নিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছাবেন।’

রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ ধরে রাখতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর জন্য বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে। মাঠে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য ছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।’

এবারে ১৩টি ইউনিয়নের নির্বাচনে মোট ৭৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, সংরক্ষতি নারী সদস্য ২শ’ ৪৯ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৫শ’ ৮৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারে মোট প্রার্থী ৯শ’ ৮ জন। এ নির্বাচনে মোট ৩ লাখ ৪ হাজার ১শ’ ৪৬ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবার অপেক্ষায় রয়েছেন।

Back to top button