আগাম আলু পরিচর্যায় ব্যস্ত সুন্দরগঞ্জের চাষিরা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা আগাম আলুর ক্ষেত পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আর অল্প কয়েক দিনের মধ্যে নতুন আলু উত্তোলন শুরু হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
বেশি দামের আশায় আগাম আলু বাজারজাত করতে তিস্তার চরাঞ্চল আলুর চাষাবাদে ভরে উঠেছে। চাষিরা আলুর ভাল ফলনের আশা করছেন
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নে ৮০০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষাবাদ হচ্ছে। এর সিংহভাগ চরাঞ্চলে। মাঠের পর মাঠজুড়ে এখন আলুগাছের সবুজ পাতার রঙের সমারোহ। কিষান-কিষানীর ব্যস্ততা এখন ক্ষেত পরিচর্যায়।
উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের কৃষক ফরিদুল হক জানান, তিনি ৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছে। ইতিমধ্যে ফলন আসতে শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে আগামি ১৫ দিনের মধ্যে আলু বাজারজাত করা যাবে। তিনি বলেন ভাল বীজ, সার, দিনমজুর, কীটনাশকসহ যাবতীয় উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ গত বছরের তুলনায় দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন প্রতিবিঘা জমিতে খরচ হয়েছে বা হবে ২০ হাজার টাকা। যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দেয়, তা হলে এক বিঘা জমিতে ৮০ হতে ১০০ মন আলু পাওয়া যাবে। যার দাম প্রায় ১ হতে দেড় লাখ টাকা।
সুন্দরগঞ্জ বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম জানান, এখনও বাজারে স্থানীয় আলু উঠেনি। অন্য জেলা হতে আসতে শুরু করেছে। বর্তমান বাজারে নতুন আলু প্রতি কেজি ৫০ হতে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় আলুতে বেশি লাভ হয়। কারণ এতে পরিবহন খরচ কম।
উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় মৌসুমে উপজেলায় ব্যাপক আলুর চাষাবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ধান, গম, আলু, ভূট্টার চেয়ে আলু চাষাবাদে বেশি লাভ। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন মাটি আলু চাষাবাদের জন্য অত্যন্ত উপযোগি। তবে চরাঞ্চলে এর পরিমান অনেক বেশি।