গাইবান্ধাগাইবান্ধা সদরফিচার
অভাবের সংসারে বেরে ওঠা তিন ভাইবোনের গল্প

এই শহরে বড় বড় দালানের নিচে চাপা পরে আছে সুবিধাবঞ্চিত অনেক শিশুর অজানা অনেক গল্প । সুবিধাবঞ্চিত এই শিশুদের জীবন এই শহরের কঠিন বাস্তবতায় আটকে আছে । এরা চাইলেও এই জীবনের বাইরে এসে কিছু করার চিন্তা করতে পারে না ।

গাইবান্ধা রেলকলনী বস্তিতে রেড়ে ওঠে মনিরুল, মোনতা ও ফারজানা। অভাবের সংসার । মনিরুল মোনতা পার্কে নিয়মিত বেলুন, পপকর্ণ বিক্রি করে। বিষয়টি জুম বাংলাদেশ এর দৃষ্টিগোচরে আসলে। তাদের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায় । অভাবের কারণে তাদের বাবা মা লেখাপড়া করাতে না পারায় তারা এ পথ বেচে নেয়। এতে করে তাদের সংসারে উপকার হয়। কিন্তু এতে তাদের ভবিষৎ এভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । এ ব্যাপারে তাদের কাউন্সেলিং করে তাদের পরিবার ও তাদেরকে বোঝনো হয় যে লেখাাপড়া করলে তারা আরো ভালো কিছু করতে পারবে। তাদের পরিবারের হাল ধরতে পারবে । মানুষের মতো মানুষ হতে পারবে।

পরবর্তীতে তাদের তিনভাই-বোনকে গাইবান্ধায় জুম বাংলাদেশ স্কুলে ভর্তি করানো হয়। এখন নিয়মিত স্কুলে আসে তারা। তাদের লেখাপড়া যাতে বন্ধ না হয়ে যায়। গত বছর তার বাবাকে একটি ভ্যান গাড়ি দেয়া হয়। যাতে তাদের পরিবার সাবলম্বী হতে পারে।

তাদের লেখাপড়ার প্রবল ইচ্ছা শক্তি আছে, কিন্তু লেখাপড়ার সুযোগ না পাওয়ায় তারা বেলুন, পপকর্ণ বিক্রি করা পথ বেছে নিয়েছিলো। জুম বাংলাদেশ স্কুলে থেকে তাদের পরিবারকে সবসময় সহযোগিতা করা হয়। যাতে করে তাদের লেখাপড়ায় যেন কোন কারণে বন্ধ না হয়ে যায়। এররকম হাজারো মনিরুল, মোনতা ও ফারজানারা আমাদের চারপাশে ঘুরছে তাদেরকে শিক্ষার আওতায় আনতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা ।

আপনিও চাইলে আমাদের স্কুলের একটি শিশুর দায়িত্ব নিয়ে তাদের পড়াশোনাকে নিশ্চিত করতে পারেন ।